রহস্যের বেড়াজালে পটিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু!

রহস্যের বেড়াজালে পটিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু!

পটিয়া সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের  পটিয়া  উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।

সহকর্মী বন্ধু ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা বলছেন নিহত শহীদ যে প্রকৃতির ছেলে সে আত্মহত্যা করতেই পারেনা।  গতকাল ১ জুলাই আত্মহত্যার পর পরিবার তড়িঘড়ি করে রাতে লাশ দাফন করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয় এবং পুলিশকে জানায়।

তাদের সন্দেহ ছাত্রলীগ নেতা শহীদকে হত্যা করে তার লাশ পরিবারের সদস্যরা ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা কখনো আত্মহত্যা, কখনো বিষপান করেছে বলে প্রচার চালায়।

ছাত্রলীগ নেতাদের দাবীর প্রেক্ষিতে লাশ দাফন ময়না তদন্তের জন্য লাশ চমেকে প্রেরন করে। আজ শনিবার ময়না তদন্তের পর বাদে আছর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

কেউ মামলা না করায় পুলিশ একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করেছে।

জানা গেছে, ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পরিবারের মনোমালিন্য ছিল। তার পিতা দুইটি বিয়ে করেন। শহীদ দ্বিতীয় ঘরের পুত্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ কক্ষের একটি সিলিং ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে বলে শুরুতে প্রচার হয়। এর মধ্যে তড়িগড়ি করে লাশ দাফন করার চেষ্টা করলে শহীদের সহপাঠীদের মধ্যে সন্দেহ হয়। পরে তাদের চাপের মুখে পড়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।
শহীদের সহপাঠী ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতীভাবে মেধাবী ছাত্রনেতা শহীদকে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ প্রায় সময় সহপাঠীদের কাছে তার ভাইদের অত্যাচার ও বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতেন। বড় ভাইয়ের শ্যালিকার সাথে প্রেম থাকার ইস্যুতে মুল ঘটনাকে থামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। শহীদের সাথে সহপাঠী কারো কোনদিন ঝগড়া সৃষ্টি হয়নি।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে রাতে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Related Articles