বান্দরবানের লেমুঝিরিতে ১ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ত্রিপুরা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

বান্দরবানের লেমুঝিরিতে ১ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ত্রিপুরা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

রিমন পালিত: বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের বালাঘাটা লেমুঝিরিতে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ত্রিপুরা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য যে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ৭ নং ওয়ার্ড বালাঘাটা লেমুঝিরি পাড়ায় স্বনতি ত্রিপুরা (২৭) নামে এই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণকারী হল বালাঘাটা লেমুঝিরি পাড়ার আমান চৌধুরীর ছেলে মোঃ ফরহাদ চৌধুরী (৩০) ।

এই বিষয়ে ধর্ষিতার স্বামী গুনারাম ত্রিপুরা ( ৪২) এর সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান, আমি একজন সাধারন দিনমজুর। আবার স্ত্রী একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মহিলা। আমার ছোট্ট একটি বাচ্চা আছে। আমি কাজ করার জন্য রোয়াংছড়িতে গিয়েছিলাম। যাবার সময় বলেছিলাম তোমার যদি কোন চালডাল জিনিসপত্র প্রয়োজন হলে তুমি বাইরে কোথাও যাবে না। কারণ সে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমি যখন বাইরে চলে যায় কাজের জন্য তখন আগে থেকে ফাদ পেতে থাকা বকাটে ছেলে ফরহাদ চৌধুরি আমার স্ত্রীর ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে জোর জবরদস্তি ধর্ষণ করে । আমি পরে কাজ থেকে আসলে আমার আত্মীয় স্বজনরা আমাকে একথা জানায়।

এ বকাটে ছেলে ফরহাদ চৌধুরি নিজেকে জামাল চৌধুরীর ভাতিজা বলে এলাকায় পরিচয় দিয়ে এসমস্ত খারাপ কাজ করে বেড়াচ্ছে। কোন প্রতিবাদ করলে সে
তার চাচা জামাল চৌধুরীর ক্ষমতা দেখায়। আমরা সাধারন গরিব মানুষ আমরা এর প্রকৃত বিচার চাই। যাতে করে ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের মতো আর কোন গরিব মানুষকে এভাবে ক্ষতি করতে না পারে। আমরা পুরা বান্দরবানবাসীর কাছে এর বিচার চাই।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল এলাকার এক সাধারন কৃষককে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জনগণের প্রশ্ন জামাল চৌধুরীর ভাতিজা পরিচয়দানকারী কি আইনের ঊর্ধ্বে। তারা কি আমাদের এভাবে রক্ত চুষে খাবে, মান সম্মানের ক্ষতি করবে ক্ষমতা দেখিয়ে।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি রত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জমির জানান , তারা আমাদেরকে মৌখিকভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছে বর্তমানে তা লিখিত আকারে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যাব। এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

Related Articles