তুরস্ক এখন থেকে তুর্কিয়ে

তুরস্ক এখন থেকে তুর্কিয়ে

আন্তর্জাতিক পরিসরে তুরস্ক দেশটি এখন থেকে ‘তুর্কিয়ে’ হিসেবে পরিচিত হবে। বর্তমানে এটি বিশ্বে ‘টার্কি’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে যেটি তুরস্ক হিসেবে পরিচিত।

তুরস্কের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ‘তুর্কিয়ে’ নামটি গ্রহণ করেছে।

এখন অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও একই ধরনের পরিবর্তন আনতে বলবে তুরস্ক।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত বছর থেকে তুরস্ককে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার অংশ হিসেবে ‘তুর্কিয়ে’ রাখার প্রচারণা শুরু করেন।

“তুরস্কের মানুষের সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং মূল্যবোধের সবচেয়ে ভালো বহিঃপ্রকাশ এবং প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তুর্কিয়ে সর্বোত্তম,” গত ডিসেম্বরে এ কথা বলেন মি. এরদোয়ান।

তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ এরই মধ্যে তাদের দেশকে তুর্কিয়ে হিসেবে জানে। তবে ইংরেজিতে করা ‘টার্কি’ নামটি আন্তর্জাতিক মহলে এবং দেশের ভেতরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

মি. এরদোয়ান যখন গত বছর নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন, তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি তুর্কিয়ে শব্দটি ব্যবহার শুরু করে।

তারা বলে যে ‘টার্কি’ শব্দটি বড়দিন, ইংরেজি নতুন বর্ষ এবং থ্যাঙ্কসগিভিং ডে -এর সাথে সম্পৃক্ত একটি পাখির নাম।

এছাড়া ক্যামব্রিজ অভিধানে ‘টার্কি’ শব্দটির অন্যতম অর্থ হচ্ছে ‘যে জিনিস চরমভাবে ব্যর্থ’ অথবা ‘ বোকা ব্যক্তি’।

এখন থেকে তুরস্কের সব রপ্তানি পণ্যের গায়ে ‘মেইড ইন তুর্কিয়ে’ লেখা থাকবে। এছাড়া জানুয়ারি মাস থেকে তুরস্কের পর্যটন শিল্পে ‘হ্যালো তুর্কিয়ে’ প্রচারণা শুরু হয়েছে।

অনলাইনে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা এ নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করলেও অনেকে বলছেন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দেশ নির্বাচনের দিকে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সেজন্য দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এটি করেছেন।

কোন দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নতুন কোন ঘটনা নয়।

২০২০ সালে ‘হল্যান্ড’ নামটি বাদ দিয়ে নেদারল্যান্ডস হিসেবে পরিচিত হয়। এর আগে গ্রিসের সাথে বৈরিতার কারণে মেসিডোনিয়া তাদের নাম পরিবর্তন করে নর্থ মেসিডোনিয়া করে।

ইতিহাসে দেখা যায়, ইরান একসময় পার্সিয়া বা পারস্য হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময়কার ‘সিয়াম’ এখন থাইল্যান্ড এবং রোডেশিয়ার নাম পরিবর্তন হয়ে জিম্বাবুয়ে হয়েছে।

Related Articles