কাশিয়াইশ সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই মোঃ সোহেল গতকাল রাত ১১ টায় কতিপয় অজ্ঞাতনামা নামা দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারাবির নামাজের শেষে বুধপুরা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় কতিপয় সন্ত্রাসী।
তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হন সোহেল। তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় বলে নিকটাত্মীয়রা জানিয়েছেন।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
নির্বাচনে কাশেম চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন জড়িত কীনা তদন্ত করা হবে।
এদিকে ছুরিকাঘাতের সময় যারা আশপাশে ছিলেন, তারা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন কাশেম চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্ধী কায়েস ঘটনার সময় আশেপাশে ছিলেন।
শরীফ নামে একজন ছুরি নিয়ে আক্রমন চালায়। সে কায়েসের কর্মী।
এদিকে নিহত সোহেলের লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সোহেল নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
যেকোন সময় পাল্টা হামলা চালিয়ে প্রতিশোধের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে পটিয়ার জঙ্গলখাইনে বিশেষ বাহিনীর অভিযানে ২ জন আটক হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এদের একজন ইউপি মেম্বার বাবর এবং অপরজন যুবলীগ কর্মী।
তবে এখনো এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।