নাতি বা নাতনি জন্ম দেওয়ার দাবিতে ছেলে-ছেলেবউয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভারতের এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজ্যের বাসিন্দা সঞ্জীব প্রসাদ (৬১) ও সাধনা প্রসাদ (৫৭) দম্পতি গত সপ্তাহে আদালতে মামলাটি করেছেন। একে বিরল মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারের আদালতে করা মামলাটির ওপর ১৭ মে শুনানি হতে পারে। সঞ্জীব-সাধনা দম্পতির ছেলের নাম শ্রেয় সাগর (৩৫)। ছেলেবউয়ের নাম শুভাঙ্গী সিনহা (৩১)। এক বছরের মধ্যে নাতি বা নাতনি এনে দিতে না পারলে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন সঞ্জীব-সাধনা দম্পতি।
মামলায় সঞ্জীব-সাধনা দম্পতি বলেছেন, তাদের ছেলে বিয়ে করেছেন ছয় বছর হয়ে গেছে। কিন্তু ছেলে-ছেলেবউ এখনো সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন না। অন্তত তাদের যদি একটি নাতি বা নাতনি থাকত, তাহলে তার সঙ্গে সময় কাটানো যেত, বয়সকালে কষ্ট সহনীয় হতো।
ওই দম্পতি বলেছেন, ছেলেকে বড় করতে তারা তাদের সব সঞ্চয় ব্যয় করেছেন। ছেলেকে পাইলট বানাতে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছেন। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। ছেলের জন্য জমকালো বিয়ের আয়োজন করেছেন। বিয়েতেও অনেক খরচ করেছেন। সঞ্জীব-সাধনা দম্পতির ভাষ্য, তাদের একটি নাতি বা নাতনি থাকবে, অবসরকালে সেই নাতি বা নাতনির সঙ্গে তারা সময় কাটাতে পারবেন, এমন ভাবনা থেকেই ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। অথচ ছেলের বিয়ের ছয় বছর পরও তারা নাতি-নাতনির মুখ দেখতে পারেননি।
দম্পতি আরও বলেছেন, তারা ছেলের পেছনে সব টাকাপয়সা শেষ করেছেন। এখন তারা অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কারণ, তারা একাকী। তারা মামলার আবেদনে, এক বছরের মধ্যে যদি নাতি বা নাতনি না পান, তাহলে প্রায় পাঁচ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। মানসিক হয়রানির দিকটি সামনে এনে এই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
বৃদ্ধ দম্পতির আইনজীবী এ কে শ্রীবাস্তব বলেন, দাদা-দাদি হওয়া প্রত্যেক মা-বাবার স্বপ্ন। দাদা-দাদি হওয়ার জন্য তার মক্কেলেরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও জিভয়েস ২৪।