এ,টি,এম, তোহা :পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের উপ- নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও আদালতের নির্দেশ না মানার অভিযোগ ওঠেছে।
মঙ্গলবার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেছে এবং আগামী ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে পূর্ণাঙ্গ শুনানী করার আদেশ দেন। এর পরও প্রার্থী রাসেলের পক্ষে প্রচারনা চলছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, আগামী ১৫ জুন উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন। এ নির্বাচনের যাচাই বাছাইয়ে ঝড়ে পড়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাসেল। এর পর তিনি হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন। ওই মামলায় প্রার্থীতা ফিরে পেলেও চেম্বার আদালতে আবদুর রশিদ পুনরায় আপিল করেন। এতে রাসেলের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। এর আগে রির্টানিং অফিসার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আপিল বিভাগ মনোনয়ন বাতিল করেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা পর্যন্ত মানছে না। ভোটের ১০ দিন পূর্ব হতে ১-২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনপূর্বক প্রার্থীদের সম প্রচারের ব্যবস্থা, ছনহরা ইউনিয়নের ৯টি ভোটকেন্দ্রের জন্য নির্বাচনের দিন ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের ব্যবস্থা, ৯টি ভোট কেন্দ্রের জন্য ভোটের পূর্ব দিন ও নির্বাচনের দিন ৫টি টিম র্যাব মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ, ৯টি ভোট কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর জন্য ৯জন নির্বাচন অফিসার নিয়োগ প্রদান, ভোট কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ভিডিও ধারনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও ৯টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থার দাবি জানান।
পটিয়া উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য ও আচরণ বিধি লংঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী একটি লিখিত করেছেন। ওই অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।