চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের লাশ শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আজ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, শনিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে রোববার রাত পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাদের শনাক্ত করা যায়নি, তাদের পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহ।
২৫ জনের মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে চোখের দেখায় তাদের পরিচয় বোঝা সম্ভব হয়নি। সেজন্য লাশের দাবি নিয়ে আসা স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে সোমবার সকালে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ১১ জন স্বজন নমুনা দিতে এসেছেন। সিআইডির ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সেখানে থাকা রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে আগুন ভয়ঙ্কর মাত্রা পায়। সোমবার দুপুরেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেই আগুন পুরোপুরি নেভেনি। ওই ঘটনায় রোববার রাত পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু এবং দুই শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে নয়জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।