পটিয়া সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম: স্কুল গুলোতে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। চট্টগ্রামের পটিয়ার অদিতীও আজ সকালে গিয়েছিল পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বের হতেই হাজির বর। কনেকে নিয়ে রওয়ানা হলো উপজেলা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। খবর পেলেন পটিয়ার ইউএনও আতিকুল মামুন।
তিনি পুলিশ সহকারে হাজির হলেন কমিউনিটি সেন্টারে এভাবেই রক্ষা পেল বাল্য বিয়ে থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল পড়ুয়া মেয়ে।
সোমবার (৬ জুন) দুপুরে পৌর সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ইউএনও বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। কনে অদিতি সেন উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের সুজিত সেন ও সোমা সেনের কন্যা এবং স্থানীয় কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বর রূপন কান্তি দে প্রবাসী। সে কক্সবাজার রামু উপজেলার সুনিল কান্তি ও আরুতি কান্তি দের পুত্র। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে থাকেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও আতিকুল মামুন জানিয়েছেন, বাল্য বিয়ের আয়োজন করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এধরনের বিয়ে যাতে কেউ আয়োজন না করে সে জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার পিতা-মাতা থেকে মুচলেখা নিয়ে কনেকে পিতার জিম্য়দওয়া হয়।