পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধর করার ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
তার নাম রতন দত্ত (৪০)। সে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের অমল দত্তের পুত্র।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার সময় পুলিশ পৌর সদরের সুচক্রদন্ডী এলাকা থেকে
গ্রেফতার করেন। হামলার শিকার আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মিন্নত আলী সওদাগর
ছনহরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি। এ ঘটনায় থানায় মাদক সেবী আবুল
হাসেম, মো. ইয়ামিন, রতন দত্ত, মনজু সিকদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনের
বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতার পুত্র মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের
করেন।
জানা গেছে, উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের আবুল হাসেম প্রায় সময় মাদক সেবন করে
এলাকার নিরীহ মানুষের উপর হামলা করেন। গত সোমবার রাত ৯টায় ছনহরা ইউনিয়নের
৩নং ওয়ার্ডের আবুল কামাল নামের একব্যক্তির চায়ের দোকানের সামনে
অতর্কিতভাবে আ’লীগ নেতা হাজী মিন্নত আলী সওদাগরকে পেয়ে লাঠিসোটা ও লোহার
রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন ওই নেতাকে
উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আবুল হাসেম একজন চিহ্নিত মাদক সেবী। তার বিরুদ্ধে
থানায় মামলা রয়েছে। মাদকের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর করে
থাকে। যার কারণে কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত সাহস পাননা।
মামলার বাদী মো. নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তার পিতাকে একা পেয়ে মাদক সেবী
হাসেমসহ কয়েকজন অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা
উপর্যুপরী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মারাত্মক জখম করেছে। হাসেম বিএনপির
রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানান।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, আ’লীগ নেতাকে মারধর করার
ঘটনায় থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে এবং মামলার ৩নং আসামী রতন দত্তকে
ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
