কাতার বিশ্বকাপে যৌনতা-মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা, ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল

কাতার বিশ্বকাপে যৌনতা-মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা, ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল

আর কদিন পরেই ফুটবলের মহাযজ্ঞ বসছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ কাতারে। যদিও দেশটির নিয়ম কানুন অনেকের কাছেই অজানা। ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে যে নিয়ম চলে তা কাতারে নিষিদ্ধ। অবাধ যৌনতা থেকে মদ্যপান, সবকিছুতেই থাকছে নিয়ম।

তাই ফুটবল ফ্যানদের কাছে এবারের বিশ্বকাপটাও ‘রক্ষণশীল’ হতে চলেছে। নিয়মের এদিক ওদিক হলেই হতে পারে সাত বছর জেল।
তাই আসছে বিশ্বকাপে প্রিয় দলের খেলা শেষে রাতভর পার্টি ও রাস্তায় হই-হুল্লোড়ের মতো পরিচিত উন্মাদনা এবার দেখা যাবে না। রক্ষণশীল মুসলিম-প্রধান দেশ কাতারে এসব নিষিদ্ধ।

এমনকি বিশ্বকাপ দেখতে এসে হোটেলে ওঠে স্বামী-স্ত্রী না হলে যৌন মিলনও করা যাবে না। বিশেষ করে ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ বা এক রাতের যৌনমিলন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়মের ব্যতিক্রম হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’-এর বরাতে ‘মিরর’ এমনটাই জানিয়েছে।

কাতারে সমকামিতাও নিষিদ্ধ। ২০২২ বিশ্বকাপে তাই সমকামিতার সমর্থনে পোস্টার বা পতাকা ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি মদ্যপানেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা।

কাতারের জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুলআজিজ আল আনসারী জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়ার কারণ আসলে বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থেই। তার মতে, কাতারের সাধারণ লোকজন হয়তো এসব মেনে নিতে পারবেন না।

কেউ কেউ আগ্রাসীও হয়ে উঠতে পারেন। কাতার বিশ্বকাপে ফিফার প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, সমর্থকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত ভালোবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
সূত্র : স্পোর্টস বাইবেল, ডেইলি স্টার ও মিরর।

Related Articles