এম মনির চৌধুরী : বোয়ালখালীতে বসতঘরে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদের বেধড়ক মারধরে শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী মজু ভান্ডার এলাকায় নুরু ছাফার বসত ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ডাকাতদের মারধরে আহতরা হলেন- শাহনাজ (৩৮), আনোয়ার ছাফা (৫৪), আফরিন সুলতানা (১৭), হাবিবুল বাশার (১৪), ফরিদা বেগম (৩৩), আহমদ ছাফা (৫২), তাহের ইসলাম (১৮), ওবাইদুল আকবর তারেক (২৪), নুর মহল বেগম (৪০) ও নুরু ছাফা (৫৬)।
ডাকাত কবলিত পরিবারের সদস্যরা জানান, নুরুচ্ছফার দোতলা পাকাভবনের পেছেনের লোহার গ্রিলের তালা ভেঙে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে ভবনের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়।
নুরুচ্ছফার ছেলে ওবাইদুল আকবর তারেক জানান, দোতলা ভবনের নিচ তলায় তার চাচা আহমদ ছাফা ও আনোয়ার ছাফা ও দ্বিতীয় তলায় তারা পরিবার নিয়ে থাকেন। সোমবার রাত ২টার দিকে ডাকাতদলের দরজা ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে। ডাকাতরা চোখের পলকে কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় আগ্নেয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে। তারা স্বর্ণালংকার দেওয়ার জন্য ঘরের মহিলাদের ওপর বিভিন্ন ধরণের চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এসময় তারা পরিবারের সবাইকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। ডাকাতদলের সদস্যদের হাতে দা, ছুরি, লোহার রড, আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো। ডাকাতদল নগদ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, স্বর্ণ ৪ভরি, ৪টি মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বোয়ালখালী থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো.তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।