কাতার বিশ্বকাপে আসছে নতুন প্রযুক্তি

কাতার বিশ্বকাপে আসছে নতুন প্রযুক্তি

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি’র (ভিএআর) ব্যবহার দেখা গেছে গত বিশ্বকাপে। কাতারে আসছে আরও উন্নত প্রযুক্তি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০২২ বিশ্বকাপে সেমি-অটোমেটিক অফসাইড টেকনোলজি ব্যবহার করতে যাচ্ছে ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। প্রজেক্টটি উপস্থাপন করেছেন ফিফা টেকনোলজি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইয়োহানমেস হোলজমুলার। অন-ফিল্ড ও ভিডিও রুম রেফারিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে এই নতুন সিস্টেম। বর্তমানে ভিএআর-এ একটি অফসাইড পর্যবেক্ষণে ৭০ সেকেন্ডের বেশি সময় লেগে যায়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সবকিছু ২৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পন্ন করা যাবে। এমনকি পুরো কার্যক্রমের থ্রিডি অ্যানিমেশন দেখা যাবে স্টেডিয়ামে থাকা জায়ান্ট ডিসপ্লেতে।

যেভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি :

স্টেডিয়ামের ছাদে ১২টি ক্যামেরা বসানো থাকবে। ক্যামেরাগুলো প্রতি সেকেন্ডে বলের মুভমেন্ট ধারণ করবে এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে ২৯ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে। মাঠে খেলোয়াড়দের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার ফুটেজ নেবে ক্যামেরাগুলো।

২৯ ধরনের ডাটা নেয়া হবে উরুসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে। আর অ্যাডিডাসের যে বল দিয়ে মাঠে খেলা হবে সেটির ভেতরে থাকবে এক ধরনের বিশেষ সেন্সর। ভিডিও রুমে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার ডাটা পাঠাতে সক্ষম এটি। এতে বলে ঠিক কোন মুহূর্তে স্পর্শ লেগেছে তা সঠিকভাবে বের করা সম্ভব হবে।
এই প্রযুক্তির প্রধান উপাদান হচ্ছে বল সেন্সর ও ১২টি ক্যামেরা। এ দুটির সঙ্গে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহাযে নির্ণয় করা যাবে খেলোয়াড় ও বলের প্রকৃত অবস্থান। অফসাইডে থাকা কোনো খেলোয়াড় বল রিসিভ করা মাত্রই ভিডিও রুমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে। তবে মাঠের রেফারিকে এই তথ্য জানানোর পূর্বে ভিডিও রেফারিং টিম সরবরাহকৃত ডাটার সাহায্য নিয়ে ম্যানুয়ালি আরেকবার বল ও খেলোয়াড়ের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করবে। অফসাইড লাইনও অটোমেটিক ভেসে উঠবে স্ক্রিনে। এরপর মাঠের রেফারিকে বিষয়টি জানাবেন তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হলে স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে পুরো প্রক্রিয়ার থ্রি-ডি চিত্র।

সেমি-অটোমেটিক অফসাইড টেকনোলজির প্রয়োগ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। করোনাভাইরাসের কারণে অগ্রগতি পিছিয়ে পড়ে। অনেকগুলো টেস্টের পর ২০২১ সালে অ্যারাবিয়ান কাপে সফলভাবে এটি ব্যবহার করা হয়। ফিফা রেফারিং বিভাগের প্রধান পিয়ারলুইজি কলিনা বলেন, ‘রোবট রেফারির কথা বলা হচ্ছে। এটা ভালো বিষয়। তবে এটা ব্যবহার করা হবে না। অফসাইড পজিশন নির্ণয়ে শুধুমাত্র সেমি-অটোমেটিক অফসাইড প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হবে। ২০-২৫ সেকেন্ডে কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া।

Related Articles