ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ বারাক উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল যদি কোনো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পরিকল্পনা করে থাকে তা খুব কার্যকর হবে না।
তিনি বলেছেন, এর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে খুব একটা কার্যকর ফল পাওয়া যাবে না বরং তেহরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে যথেষ্ঠ সক্ষম। টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলেছেন। গতকাল (সোমবার) তার এই নিবন্ধ প্রকাশ হয়। এতে তিনি দাবি করেন, চলতি গ্রীষ্মে ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
নিবন্ধে তিনি বলেছেন, “চলতি সপ্তাহে ইরান কার্যত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে তবে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে তা হিসেবে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের জন্য আরো দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।”
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসার পর কেন আমেরিকা এবং ইসরাইল সম্মিলিতভাবে ইরানের উপর হামলা চালায় নি?
ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক খাতে ব্যাপক শক্তি অর্জন করেছে
ইসরাইল এবং আমেরিকা ইরানের আকাশে হামলা চালাতে পারে এবং পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু ইরান একবার পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হলে এই ধরনের হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু তৈরির ক্ষমতা বিলম্বিত করা যাবে না।
ইহুদ বারাক বলেন, এর অর্থ হচ্ছে ১২ বছর বা চার বছর আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যুদ্ধের যতটা ঝুঁকি ছিল এখন সে যদি অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে, বুধবার ইহুদ বারাক স্বীকার করেন, ইরান একটি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ এবং তারা ইসরাইলের ওপর হামলা চালাতে সক্ষম। তিনি তার ভাষায় বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করলে তা ইসরাইলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বাস্তব ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এই নিবন্ধে তিনি দাবি করেছেন যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বাস্তব অর্থেই নতুন ধাপে চলে যাবে। ইসরাইল যাতে স্বাধীনভাবে ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারে সেজন্য তাকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে তোলার দাবি জানিয়েছেন ইহুদ বারাক।#
পার্সটুডে