আগের ম্যাচে ২০৫ রান তোলা জিম্বাবুয়েকে এবার ১৩৫-এ আটকে দেয় বাংলাদেশ। লিটনের ৫৬ ও আফিফের ৩০* রানের সুবাদে লক্ষ্যটা ১৫ বল হাতে রেখে টপকে যায় সফরকারীরা। ৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা আনলো টাইগাররা।
৪ ওভারে মাত্র ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
রান তাড়ায় নেমে লিটন দাস-মুনিম শাহরিয়ারের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৭ রান। যাতে মুনিমের অবদান ৮ বলে ৭। রিচার্ড এনগারাভাকে ভুল লাইনে খেলতে গিয়ে অফস্টাম্প উপড়ে যায় মুনিমের। ৫ ম্যাচ খেলে সাকুল্যে এ ডানহাতির সংগ্রহ ৩৭। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৭ রানের। গত বিপিএলে দেড়শ’ স্ট্রাইকরেটে রান করা মুনিম ৫ ম্যাচে বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৫টি।
প্রথম ম্যাচে চমৎকার খেলতে থাকা লিটন রানআউট হয়েছিলেন নির্বুদ্ধিতায়। এবার ফিফটি ছুঁয়েছেন ৩০ বলে। শন উইলিয়ামসনের এলবিডব্লু’র ফাঁদে পা দিয়ে ইতি ঘটে তার ইনিংসের।
৩৩ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ ম্যাচে লিটনের ষষ্ঠ ফিফটি এটি। আগের ম্যাচেই ছুঁয়েছেন ১০০০ রানের মাইলফলক। লিটন ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজারের বেশি রান আছে বাংলাদেশের আর পাঁচজনের- সৌম্য সরকার (১১৩৬), মুশফিকুর রহীম (১৪৯৫), তামিম ইকবাল (১৭০১), সাকিব আল হাসান (২০১০), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২০৪৩)। এদের মধ্যে তামিম ইতোমধ্যেই অবসরে গেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়েতেও মলিন তার ব্যাট। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন বড় ইনিংস খেলতে। প্রথম ম্যাচে ২৭ বলে ২৬ করা বিজয় এবার থেমেছেন ১৬-তে। ১৫ বলের ইনিংসে দুটি চারের মার। সিকান্দার রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে। প্রথম ম্যাচেও রাজার বলে ঠিক একইভাবে আউট হয়েছিলেন বিজয়।
টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। তবে চতুর্থ উইকেটে আফিফ-শান্তর ৪৮ বলে ৫৫* রানের জুটি সহজ করে দেয় সমীকরণ। আফিফ ২৮ বলে সমান একটি করে চার-ছয়ে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। নাজমুল শান্ত ২১ বলে এক চারে করেন ১৯*।
এর আগে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন আসে। নাসুম আহমেদের জায়গা নেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। আর তাসকিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ।
ইনিংসের শুরুতে মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। প্রথম বলেই তিনি ফেরান রেজিস চাকাভাকে। এরপর ষষ্ঠ বলে ওয়েসলি মাধেভেরেকেও সাজঘরের পথ দেখান মোসাদ্দেক।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে মোসাদ্দেক পান তৃতীয় সাফল্য। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে বানান লিটনের ক্যাচ। ৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসা স্বাগতিকদের মোসাদ্দেক চতুর্থ আঘাত হানেন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। নিজের বলে নিজেই শন উইলিয়ামসের ক্যাচ লুফেন তিনি।
নিজের চতুর্থ ওভারে এসে মোসাদ্দেক পান পঞ্চম উইকেটের দেখা। দলীয় ৩১ রানে ফেরান মিল্টন শাম্বাকে (৩)। তবে সিকান্দার রাজার ফিফটিতে (৫৩ বলে ৬২) শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে রায়ান বার্লের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন রাজা। ব্যাট হাতে বার্লের অবদান ৩২।