
আমার পটিয়া. কম : বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই বৃন্তে দুটি ফুল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে ‘রং তুলিতে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
১৫ আগস্ট বিকেল ৪টায় পটিয়া ক্লাব প্রাঙ্গণে এই আয়োজনে পটিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির সদস্য অগ্নিলা শর্মা দিয়ার সঞ্চালনায় ও নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, রাজনীতিবিদ রাশেদ মনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এর ফলে একেবারেই সাধারণত মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। তাই তিনি ছাত্রজনতার বঙ্গবন্ধু থেকে গণমানুষের মুক্তির মহানায়ক।
রাশেদ মনোয়ার বলেন, বীরত্ব, ত্যাগ, দৃঢ়প্রত্যয়, নেতৃত্বগুণ—একজন রাজনীতিক হিসেবে এর সব কটির সম্মিলন জাতি দেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে, যা সহজেই তাঁকে স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতার মর্যাদায় আসীন করেছে। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তিনি স্থান নিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। বাঙালি জাতি তাদের মহান নেতাকে সব সময় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
নুরুল আজিম রনি বলেন, ১৯৭১ সমগ্র জাতি বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক হয়েছিল। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে দেশ পেয়েছিলাম তার নাম বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও তার পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা।
একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, বিংশ শতাব্দীর এক মহান নেতা বঙ্গবন্ধু। তাঁর স্বপ্ন, দর্শন, আদর্শ ও প্রাপ্তি ছড়িয়ে রয়েছে বাংলার আকাশে-বাতাসে, মানুষের মননে। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয়, তিনি এক জাগ্রত ইতিহাস। একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অপরিমেয় অহংকার, বর্ণিল ঐশ্বর্য। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই মালায় গাঁথা। তাই বঙ্গবন্ধু সবার, বঙ্গবন্ধু সব মানুষের। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।
আরো বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী হামেদ হাসান, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সোহেল উদ্দিন,সাইদুল আলম তানিম, একাডেমির সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল, আবদুল আল মোমেন, জয় শীল, স্বাগত বড়ুয়া, সংগীত শিক্ষক শিবু মল্লিক।
আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ক্রেস্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সেই সাথে ৪০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে এক বছরের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।