স্বাধীনতার ৫১ বছর পর শহিদ পরিবারের স্বীকৃতি পেল শহীদ সবুরের পরিবার

স্বাধীনতার ৫১ বছর পর শহিদ পরিবারের স্বীকৃতি পেল শহীদ সবুরের পরিবার

বহু চড়াই উতরায়ের পর দীর্ঘ স্বাধীনতার ৫১ বছর পর অবশেষে পটিয়ার শহীদ ছবুর রোড খ্যাত, শহিদ ছবুরের পরিবার শহীদ ভাতা ও রেশন কার্ড হাতে পেয়ে আনন্দে, আবেগে আপ্লুত হয়ে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন শহীদের দুই বোন জাহেদা এবং জরিনা। পটিয়ার ইউএনও মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে অরক্ষিত কবরও পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ৭১ তাদের প্রিয় ভাইকে হারানোর স্মৃতি তারা কিছুতেই ভুলতে পারেননি।

 

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে একুশের বই মেলায় বলাকা প্রকাশন থেকে “একাত্তরের শহীদ ছবুর” নামে ১৪ বছর গবেষণা করে একটি বিস্মৃত অধ্যায় প্রকাশিত বইয়ের মাধ্যমে পাঠকের সম্মুখে তুলে আনেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যক, প্রাবন্ধিক রশীদ এনাম। শহীদ ছবুর রোড সবাই চিনত কিন্তু শহীদ ছবুরকে কেউ চিনত না। এরই ধারাবাহিকতায় বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বইটি বেশ পাঠক নন্দিত হয়। তাছাড়া বইটি কেন্দ্র করে একাত্তরের শহীদ ছবুর ফেসবুক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা হয়। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে শহীদ ছবুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। শহীদ ছবুর ফেসবুক গ্রুপ থেকে দাবী জানানোর পরে শহীদ স্মৃতি বিজড়িত রাহাত আলী ইশকুল মাঠে এবং পটিয়া শেয়ান পাড়া শহীদ ছবুরের গ্রামে পশ্চিম পটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। এবং লেখকের নিজ পরিকল্পনায় শহীদ ছবুর ফেসবুক গ্রুপ, টইটম্বুর ও ইতিহাসের খসড়া পরিবারের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে ২৮ মার্চ পটিয়া প্রথম শহীদ ছবুর শিশুতোষ পাঠাগার প্রতিষ্টা করা হয়। ঐ দিন শহীদ ছবুর পরিবারকে পটিয়ায় প্রথম সম্মাননা প্রদান করা হয়। তবে সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ হলো শহীদ ছবুর ১৯৭১ সালে ২ অক্টোবর শহীদ হওয়ার পর কোন ধরনে শহীদ ভাতা পায়নি। ৫১ বছর পর শহীদ ছবুরের নাম গত ১৯ মে ২০২২ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় গেজেটভুক্ত করেন। এই অর্জনে শহীদ পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যথাক্রমে মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি মহোদয়, জামুকের ডিজি মহোদয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রধান, পটিয়া পৌরসভার সম্মানিত মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পটিয়ার সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ যারা শহীদ পরিবারের পাশে ছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন।

Related Articles