আমার পটিয়া: পটিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে এক গণশুনানি কালে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি মূক্ত সেবা দেয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জনগণের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সকল প্রশ্নের জবাব দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করেন এবং সকল ধরনের সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করছেন। এসময় তিনি বলেন, পটিয়া উপজেলার ভূমি সেবাকে হয়রানি মুক্ত করতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। গত ১০ নভেম্বর উপজেলা ভূমি অফিস ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি পটিয়া উদ্যোগে আয়োজিত এক গণশুনানী ও নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-পটিয়ার ভূমি বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কবি শেখর নাথ পিন্টু এর সভাপতিত্বে ও ইয়েস সদস্য দিপ্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত গণশুনানী ও নাগরিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেলিশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন, সনাকের সাবেক সভাপতি এসএমএকে জাহাঙ্গীর, প্রথম আলো পটিয়ার প্রতিনিধি ও সনাক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও সনাক সদস্য শীলা দাশ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবি চট্রগ্রাম ক্লাস্টারের সমন্বয়কারী মো: জসিম উদ্দিন।
উক্ত গণশুনানীতে অংশগ্রহণ করে কেলিশহর ৫ নং ওয়ার্ড এর এখলাসুর রহমান বলেন, নামজারি করতে গিয়ে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দাবী করেছে। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার বলেন, নামজারী করতে সরকারি ফি ও অন্যান্য খরচসহ ১১৭০টাকার বেশী লাগবেনা। কোন ব্যক্তি এর অতিরিক্ত অর্থ দাবী করলে সরাসরি সহকারি কমিশনারকে জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন। এছাড়াও তিনি কোন দালালের কাছে না গিয়ে সরাসরি এসি ল্যান্ড এর সাথে দেখা করে সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এসি ল্যান্ড অফিস সবার জন্য সবসময় উন্মুক্ত। আমার সাথে দেখা করতে জনগণের ভয়ের কিছু নেই। যেকোন সময় যে কেউ সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন।
কেলিশহর দারোগা হাটের ঝর্ণা দে বলেন, আমার স্বামী মারা যাওযার পর স্বামীর নামে বরাদ্দকৃত খাস জমি আমার নামে নামজারি করার জন্য ধলঘাট ভ‚মি অফিসে গেলে এক লোক আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। কিন্তু আমার পক্ষে সেটাকা দেয়া সম্ভব নয়। তার প্রশ্নের জবাবে এসি ল্যান্ড তার কাগজ পরীক্ষা দেখে বলেন, সরকারি খাস জমি কারো নামে বরাদ্দ হওয়ার পর তা বিক্রি বা নামজারি খতিয়ান করার প্রয়োজন নেই। এটি আপনাদের নামে সঠিকভাবে বরাদ্দ করা রয়েছে। এসময় ঝর্ণা দে বলেন, তার জমি জনৈক ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়য়ন ভমি‚ সহকারি কর্মকর্তাকে তার বিষয়টি দেখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
কেলিশহর রতনপুর ৯ নং ওয়ার্ডের প্রবীর দাশ বলেন, আামর কিছু খাস জমি ছিল যা ২০০১ সালে মামলার পর ২০০৫ সালে অবমুক্তির রায় পেয়েছে। পববতীর্তে আমাদের নামে বিএস খতিয়ানের জন্য ২৩/০১/ ২০০৮ সালে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করে কোন সুহারা পাইনি। তার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এসি ল্যান্ড বলেন, মামলাটি এক তরফা নাকি দুই তরফা। এ ধরনের সমস্যাায় আপিল বিষয় আছে। এ বিষয়গুলো দেখার জন্য আগামী রবিবারে বা সোমবারে তার অফিসে দেখা করার আশ্বাস দেন।
গণ শুনানীতে অংশগ্রহণকারি ও প্রশ্নকারী সকলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর জবাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এ ধরণের গণশুনানী নিয়মিত করার জন্য অনুরোধ করেন।