বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত পটিয়ার দুই কৃতি পুরুষ সম্বর্ধিত

বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত পটিয়ার দুই কৃতি পুরুষ সম্বর্ধিত

আমার পটিয়া.কম : পটিয়া  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীতে কীর্তিমানদের কোন মৃত্যু নেই। তারা দৈহিক মৃত্যুর পরও জনমানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন যুগের পর যুগ। তিনি শুকবার বিকেলে পটিয়া প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতি একাডেমির উদ্যোগে পটিয়ার দুই কৃতি পুরুষ লেখক শামসুল হক ও নাট্যজন মিলন কান্তি দে’র চলতি বছর বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পাওয়ায় তাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, মুহাম্মদ শামসুল হক মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁর গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসছে। যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে দেশ ও সমাজ। নাট্যজন মিলন কান্তি দে নানান প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রার সাথে যুক্ত আছেন। যাত্রা শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

একাডেমির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব এর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সৃজনশীল সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক রোকন উদ্দিন, নাট্যকার আহমেদ কবির, খেলাঘর সংগঠক অধ্যাপক ভগিরৎ দাশ, বোধন আবৃত্তি পরিষদ এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আজম চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী রিমা দাশ, প্রত্যয়ের সিনিয়র সদস্য আবদুল আল মোমেন ও শিবু মল্লিক।

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পটিয়ার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির এমন মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বক্তরা বলেন, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেই দেশে গুণী জম্মায় না। প্রত্যয় গুনীজনদের সম্বর্ধনা দিয়ে অন্যাদেরও উৎসাহিত করেছে।

বক্তারা বলেন, গবেষক শামসুল হক ও নাট্যকার মিলন কান্তি দে শুধু পটিয়া নয়, দেশের সম্পদ। তাঁদের দীর্ঘদিনের অবদান রাষ্ট্র বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিল। তাঁদের অর্জনের জন্য পটিয়াবাসী গর্বিত।

একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, একটি উপজেলা থেকে একসাথে দুইজন বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পাওয়া খুবই বিরল। সেই অর্জনটিই করলো পটিয়া দুই কৃতি সন্তান। তাঁরা দুইজনেই কোনরকম স্বীকৃতির আশা না করেই নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ ও শিল্প-সাহিত্যের জন্য।
পরে অনুষ্ঠানে প্রত্যয়ের আবৃত্তি বিভাগের ৫ম ব্যাচের সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।
Quick Reply

Related Articles