সাইফুল ইসলাম জুয়েল : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুর মুল্লুক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে যেমন লড়াই করেছেন ; তেমনি আজীবন তিনি ছিলেন সংগ্রামী ও আপোসহীন জননেতা। তিনি তার আদর্শের সাথে কখনো আপোষ করেননি। দেশের সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তিনি ছিলেন অগ্রগামী সৈনিক। পটিয়ার উন্নয়নে তিনি ছিলেন নিবেদিত।
বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের সংগঠক, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য, ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুর মুল্লুকের শোক সভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
পটিয়া গৌরব সংসদের উদ্যোগে পটিয়া ক্লাব হলে তাঁর স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট কবি শেখর নাথ পিন্টু।
সংগঠনের সদস্য সচিব আবদুর রহমান রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু। শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, জেলা সিপিবি সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, মালঞ্চ সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজীব, উপজেলা সিপিবি সভাপতি অলক দাশ, এডভোকেট আশীষ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ পলাশ, সংস্কৃতিকর্মী সরিৎ চৌধুরী সাজু, শিক্ষক প্রতাপ বড়ুয়া, ছড়াকার হামিম রায়হান প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, প্রয়াতের পুত্র রবিউল হোসেন রুবেল।
সভায় বক্তারা বলেন, তাজুর মুল্লুক নিজে প্রগতিশীল রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, পরিবারের সকল সদস্যকে প্রগতিশীল রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, প্রেরণা যুগিয়েছেন। পটিয়ার সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক অবদান আগামী দিনের প্রগতিশীল আন্দোলনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।