“যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেদেশে গুণী সৃষ্টি হয়না”; বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্তদের সংবর্ধনা সভায় জননেতা বদিউল আলম

“যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেদেশে গুণী সৃষ্টি হয়না”; বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্তদের সংবর্ধনা সভায় জননেতা বদিউল আলম

আমার পটিয়া. কম :বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মেধাবী জননেতা বদিউল আলম বলেছেন, “যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী সৃষ্টি হয় না”। তিনি সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) চলতি বছর বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত পটিয়ার দুই কৃতি সন্তান মুহাম্মদ শামসুল হক এবং মিলন কান্তি দে’র সংবর্ধনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখছিলেন।

বদিউল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সাংবাদিক ও লেখক শামসুল হক এবং নাট্যজন মিলন কান্তি দে পটিয়ার দুই কৃতি সন্তান। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে তারা শুধু নিজেরাই সম্মানিত হয়নি ; পটিয়াকেও সম্মানিত করেছে।

যুবনেতা বদিউল আলম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১৭ই মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘দি বাংলা একাডেমি অর্ডার, ১৯৭২’ জারি করেন।

তাঁর হাত ধরেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষা হয়েছে। আবার তাঁর হাতেই বাংলা ভাষার গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনিই সাহিত্য পুরস্কার প্রদান এবং বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন এবং ফেলো, জীবনসদস্য ও সদস্যপদ প্রদান করেন।
আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

একুশে স্মরণ পরিষদ পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই গণ সম্বর্ধনার আয়োজন করে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল আলীম।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক বিধুভূষণ দাশ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এডভোকেট বদিউল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির রাশেদ, আলী আকবর ছিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বাবুল, সাবেক উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ডিএম জমির উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা সাহাব উদ্দিন, সাবেক পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল ইমরান, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক হাসান, যুবলীগ নেতা হাসান শরীফ, শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুদ্দীন ভোলা, মোঃ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শাহীন, তৌহিদুল আলম জুয়েল, উজ্জ্বল ঘোষ, রিটন বড়ুয়া, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসাইন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন,  ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়।  সেই থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৩টি দেশে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

রফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ অসংখ্য ভাষা প্রেমীদের রক্তের বিনিময়ে কেবল মায়ের ভাষা নয়, স্বাধীনতার বীজও রোপিত হয়েছিল। অমর একুশ আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

পরে সংবর্ধিত পটিয়ার কৃতি দুই সন্তানকে ক্রেস্ট ও সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শহীদ মিনারের অমর একুশে উপলক্ষে মনোজ্ঞ  সঙ্গীত, কাব্য, কথামালা, দেশাক্তবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

Related Articles