পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পিতার মৃত্যুর পর তার কন্যার সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডা: কানিজ ফাতেম শরীফ নামে এক নারী চিকিৎসক। তিনি বলেন, তার পিতা ডা: কামাল উদ্দিন চৌধুরী কয়েক বছর আগে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি পটিয়া পৌর সদরের পোস্ট অফিস মোড়ে প্রায় ৯ গন্ডা জায়গার উপর একটি অভিজাত রেস্তোঁরা, ডিপার্টমেন্টার স্টোর এবং ৩০টিরও অধিক দোকানসহ ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন রেখে যান।
তিনি বলেন, আমি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত এবং ঢাকায় থাকি। পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আমার নামে নামজারি হয়। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ভবনটির নীচতলা ও দোতালায় গুলশান মেহেরিন নামে একটি হোটেল ভাড়ায় পরিচালনা করতো। পিতার মৃত্যুর পর কিছুদিন ভাড়া দিয়ে পরে সে ভাড়া বন্ধ করে দেয় এবং আমার নামজারি বাতিল করতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটায়। আমি জায়গাটি বিক্রি করতে চাইলে সে আমার কাছে প্রথমে অর্ধেক দামে ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। দিতে না চাইলে সে আমার কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে।
তবে যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী চাঁদা দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। কানিজ ফাতেমা তার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। সে ইসলামিক ফরায়েজ মোতাবেক সম্পত্তি বন্টন না করে এককভাবে দখল ও বিক্রি করতে চাইলে তার সাথে ওয়ারিশদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। তার দখলীয় বলে তিনি জায়গাটি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন মাত্র।
উল্লেখ্য কানিজ ফাতেমা উপজেলার খরণা ইউনিয়নের মরহুম ডা: কামাল উদ্দীনের একমাত্র মেয়ে। তার বড় ভাই ইঞ্জিয়ার মোস্তফা কামাল পিতার মৃত্যুর আগেই মারা যায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডা: কানিজ ফাতেমার স্বামী ডা: শরীফুল হক, আকতার উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আবু ছালেহ মো: শাহরিয়ার।