এ যেন ৭১ সালের ৭ মার্চ : পটিয়ার সর্বত্র প্রচারিত হলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

এ যেন ৭১ সালের ৭ মার্চ : পটিয়ার সর্বত্র প্রচারিত হলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

আমার পটিয়া : “আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি- আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও যশোরের রাজপথ আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে”। এভাবেই যেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ফিরে্ে এসেছে পটিয়ার মানুষের কাছে।

 

 

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিবস উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার সর্বত্র প্রচারিত হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। দেড় শতাধিক মাইকে সকালে একযোগে  পটিয়া পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড এবং ১৭ ই্উনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারের এই উদ্যোগ নিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের শান্তির হাট, হাবিলাস দ্বীপ ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া, ধলঘাট ইউনিয়নের ধলঘাট ক্যাম্প, হাইদগাঁও ইউনিয়নের দিঘির পাড়, কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজার, বরলিয়া ইউনিয়নের মৌলভী হাট, আশিয়া ইউনিয়নের বাংলা বাজার, কচুয়াই ইউনিয়নের কমলমুন্সির হাট, শোভনদন্ডী, খরনা, আমজুর হাট সহ সব হাট বাজার ও জনাসমাবেশে প্রচারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।

 

ব্যতিক্রমী এই ভাষণ প্রচারে জনমনে যথেষ্ট আগ্রহ ও কৌতুহল সৃষ্টি হয়। মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে শুনতে থাকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। আর এভাবে ভাষণ প্রচারের উদ্যোগ দেখে আলোচনা চলতে থাকে।

p

যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, যে ভাষণ শুনে বাঙ্গালির হিম-শীতল হৃদয় উষ্ণ হয়ে উঠেছিল, যে ভাষণ শুনে ভীতু বলে পরিচিত বাঙ্গালি প্রশিক্ষিত পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যে ভাষণ শুনে স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ প্রাণ শহিদ হযেছিল, ২ লক্ষ মা বোন ইজ্জত দিয়েছিল সে ভাষণের তাৎপর্য এবং মর্যাদা কখনো শেষ হবার নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘ “ডকুমেন্টারি হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সে ভাষণ মানুষ বারবার শুনতে চায়। বিশেষ করে ৭ মার্চ আসলে দিনটিতে মানুষ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে। তাঁর ভাষণটি নিয়ে আলোচনা করে। তাই পটিয়ার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।

এছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে তৃণমূলে জাতির পিতার ভাষণটি প্রচার করছি। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে নিয়ে গিয়ে তাদের কোটারি স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।  তাদেরকে বঙ্গবন্ধু  ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে উজ্জীবিত করতে এই ভাষণ প্রচার ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে উঠান বৈঠক, মসজিদ-মন্দিরে আলোচনা সভা ও মতবিনিময়, যুব ও ছাত্র সমাবেশ, পেশাজীবি সমাবেশ, শ্রমিক সমাবেশ, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, নারী সমাবেশ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হচ্ছে। 

তিনি দু:খ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত উন্নয়ন করলেন, অথচ সেখানে তার নাম নেই। কেউ নিজে উন্নয়নের দাবি করছেন।  আমাদের সকল উন্নয়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে। আমরা শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই; প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাই। এদেশের জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।

তিনি বলেন, পটিয়ায় আজ ৫ লক্ষ মানুষের কাছে আমরা জাতির পিতার ভাষণ শুনাতে পেরেছি। নতুন প্রজম্ম এই ভাষণ শুণে উজ্জীবিত হবে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে আগ্রহী হবে।

Related Articles