পটিয়া হাইদগাঁও স্কুলের অচলাবস্থা নিরসনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের

পটিয়া হাইদগাঁও স্কুলের অচলাবস্থা নিরসনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের

পটিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।  মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে তার কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে কক্ষটিতে তালা মেরে দিয়েছে সহকারি প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একাংশ।

এ ঘটনায়  ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্কুলের হিতৈষী পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মহিউদ্দিন।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক,  প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

গতকাল (১২ মে) শুক্রবার সকালে পটিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দীন এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা স্কুলে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।

তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে একজন অশিক্ষিত সবজি বিক্রেতাকে সভাপতি করে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীকে অবমাননা করা হয়েছে।

তারা প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক দুর্নীতি তদন্তে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার দাবী জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শিক্ষক শ্যামলদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযুক্ত হলেও তাকে সহকারী  প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটি গঠনেও এলাকার মানুষের মতামত নেয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দীক আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়ের আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ দস্তিদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছহাক মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা অশেন্দু দস্তিদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রিমন দাশ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপাল চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন চন্দ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো: আরিফ প্রমূখ।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে জানিয়েছেন,  বিদ্যালয়ে কোন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়নি।  শিক্ষা বোর্ড কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। কমিটি ভেঙে দেয়ার ক্ষমতাও তাদের।

বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাশ হচ্ছে।  শিক্ষকবৃন্দ যার যা দায়িত্ব তা পালন করছেন।

সাসপেন্ডেড হেড মাস্টারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের জন্য বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Related Articles