পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : বদনাম ঘুচিয়ে পটিয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (রাওয়া) ক্লাবের সভাপতি ও পটিয়ার কৃতি সন্তান সমর বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব) আলাউদ্দিন এম,এ, ওয়াদুদ বীর প্রতীক।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামে গৌরমময় ভূমিকা রাখা পটিয়ার বদনাম ইয়াবা, বালু ও মাটি খেকো এবং পরিবার তন্ত্রের তকমা থেকে বেরিয়ে এনে সূর্য সেন,প্রীতিলতা, সাহিত্য বিশারদের পটিয়াকে আবারো গৌরবময় স্থানে অভিষিক্ত করতে চান পটিয়াকে। এজন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন জেনারেল ওয়াদুদ।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ক্লাবে এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিয়ম সভায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি।
এজন্য এখন নিয়মিত পটিয়ায় আসছেন। মানুষের সাথে, দলীয় কর্মী -সমর্থকদের সাথে নিজ বাড়িতে মতবিনিময় করছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেঝ ছেলে ক্যাপ্টেন শেখ জামালের সামরিক ব্যাচমেট জেনারেল ওয়াদুদ পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার আমির আহমদের সন্তান।
এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ১৩ বছর চাকরি থাকা সত্বেও তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
অথচ ১৯৮০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সরকার তাকে বীর প্রতীক উপাধি প্রদান করে। তিনি জাতীসংঘ শান্তি মিশনের একাধিকবার নেতৃত্ব দেন ।
সর্বশেষ হাইতিতে বাংলাদেশ কন্টিজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। দেশে বিদেশে সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী মেজর জেনারেল ওয়াদুদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে অনেকেই সক্রিয়। এমতাবস্থায় আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেতৃত্ব নেই।
উল্লেখ্য মেজর জেনারেল ওয়াদুদ ৭ হাজারেরও অধিক অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারের সংগঠন রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান। তিনি বিশ্বের স্বনামধন্য সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইংল্যান্ডের রয়াল মিলিটারী একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট এর একজন কৃতি কমিশনড এবং ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র।
শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
বর্তমানে তিনি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের (DSCSC) একজন নির্দেশক।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর একজন প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে “রুপকল্প ভিশন ২০৪১” এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য মুজিব সৈনিক হিসেবে কাজ করে চলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক জেনারেল ওয়াদুদ। তার ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। মেয়ে হংকং এবং ছেলে লন্ডনে সপরিবারে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলকে পূনরায় ক্ষমতায় আনতে হলে সারাদেশে যোগ্য, শিক্ষিত, নির্লোভ এবং দূর্নীতিমূক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন।