সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগরসহ ১৫০ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগরসহ ১৫০ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকার বিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিএনপির ২১ নেতার নাম উল্লেখ করে মোট ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম পটিয়া পৌরসভার ১ নং আল্লাই কাগজীপাড়ার  মৃত নুর মোহাম্মদ সওদাগরের পুত্র এবং পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

গত ১৫ জুলাই পটিয়া থানায় করা হয়। মামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমকে প্রধান ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলামকে ২ নম্বর আসামী করে ২১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।

এজাহারনামীয় অন্য আসামীরা হলেন, কচুয়াই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু, হাইদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুচ,  মঈনুল আলম ছোটন, এস এম রেজা রিপন, সাইফুর রহমান আবু, নুরুল আবছার, পিচ্ছি করিম, আক্তারুজ্জামান বাবুল, কাজিম উদ্দিন, মনছপ আলী, মফিজুর রহমান, আল রায়হান সোহেল, আজাত খান, আবদুল সালাম, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম মোল্লা, আলম মেম্বার ও  মোহাম্মদ বেলাল।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পটিয়া থানাধীন কচুয়াই গিরিশ চৌধুরী বাজারের নিকটবর্তী স্থানে বাদীকে কয়েকজন তার পথরোধ করে চড় থাপ্পড় দেয়। এ সময় বিএনপি নেতারা তাকে ও আওয়ামীলীগ সরকারের উদ্দেশ্যে নানা রকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহার এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে জানিয়ে প্রয়োজনে পটিয়ায় জান-মালের ক্ষতিসহ পুরো পটিয়াতে আগুন জ্বালাবে বলতে থাকে বিএনপি নেতারা।

এ সময় আসামীরা পর পর কয়েকটি ককটেল এর বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।

মামলায় পুলিশ যে জব্দ তালিকা দেখিয়েছে তাতে দেখা যায় বাজারের অদুরে ময়লার ডিপো থেকে ৩টি টিনের কৌটার মুখ, ৪টি মার্বেল, ১০টি পেরেক উদ্ধার করেছে।

বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১৫ জুলাই শুধু নয় গত ১ মাসেও পটিয়ায় বিএনপি কোন কর্মসূচি পালন করেনি। হয়রানি করার জন্য এই গায়েবি মামলা।

পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সায়েমের কাছে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে তা গোপন রাখা হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম আরো তীব্র হলে পুরনো মামলা দেখিয়ে নেতাকর্মীদের চালান দেয়ার জন্য সরকারি আদেশে গায়েবী এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। #

Related Articles