সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), পটিয়ার সহযোগিতায় ও ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দুর্নীতি বিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সনাক পটিয়ার সাবেক সভাপতি ও শিক্ষা উপকমিটির আহবায়ক এসএমএকে জাহাঙ্গীর, সনাক সদস্য সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক, সনাক সদস্য নিত্যময় চৌধুরী ও টিআইবির এরিয়া কোর্ডিনেটর এ.জি.এম. জাহাঙ্গীর আলম। অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কুল শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম হাসান জামান, সিনিয়র শিক্ষক দিলীপ মজুমদার, সিনিয়র শিক্ষক মো. ইদ্রিস, সিনিয়র শিক্ষক রুপা চৌধুরী, অভিভাবক মো. শহীদুল্লাহ ও অভিভাবক দীপু রানী বড়ুয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক আমীর মোহাম্মদ আশরাফ আলী। সাবিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের সদ্য গঠিত একটিভ সিটিজেন গ্রæপ (এসসিজি) ও ইয়েস সদস্যবৃন্দ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বক্তারা বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় দেশের গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সঠিক নিয়ম ও গুণগত মান বজায় রাখতে না পারায় বর্তমানে শিক্ষার উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যহত হচ্ছে। যার ফলে সমাজে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সমাজের কাঙ্খিত পরিবর্তন হচ্ছেনা। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, অনিয়ম, অবিচার ছড়িয়ে পড়লেও নৈতিক শিক্ষার অভাবে প্রতিবাদকারীর সংখ্যা কমেও আসছে। এছাড়া মেধাশূণ্য ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যাও লাগামহীন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায় মেধা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলেও এমন অনেক অভিভাবক আছেন যারা সন্তানদের উপযুক্ত পরিচর্যা করেন না। যার ফলে কেউ কেউ মাধ্যমিকের গÐিও পেরুতে পারেনা। এরা হতাশায় জড়িয়ে নানা অসামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে যায়। সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক সমন্বয় করে পিছিয়ে পড়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।
অতিথির বক্তব্যে সনাক পটিয়ার সাবেক সভাপতি এসএমএকে জাহাঙ্গীর বলেন, একটি দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো দেশ পরিচালনার জন্য আগামীর মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টির কারখানা। শিক্ষা জীবনটাই যদি নৈতিক শিক্ষা ও গুণগত শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে উঠে তাহলে আগামীতে জাতির মেধাবী নেতৃত্বের অভাব হবেনা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল বলেন, নৈতিক শিক্ষা ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। সকল শিক্ষক-অভিভাবককে মিলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবো। শিক্ষক-অভিভবককে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা আমাদের দায়ীত্ব পালনে সচেষ্ট হবে। আশা করবো অভিভাবকরাও অনৈতিক কোনো আবদার নিয়ে আমাদের অনুরোধ বা চাপ তৈরী করতে আসবেন না।