মানবতার কর্ণধার পটিয়ার জুলকারনাইন মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই আনন্দ এবং তৃপ্তি খুঁজে পান

মানবতার কর্ণধার পটিয়ার জুলকারনাইন মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই আনন্দ এবং তৃপ্তি খুঁজে পান

এটিএম তোহা :  যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ডক্টর জুলকারনাই চৌধুরী জীবন আধুনিক ও মুক্তচিন্তার একজন তরুণ রাজনীতিক। প্রবাসে থেকেও নিজ এলাকায় গরীব, দু:খী মানুষের জন্য সার্বক্ষনিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশন।

এই ফাউন্ডেশনের কর্মীরা ফোন পেলেই নগদ টাকা ও খাদ্য সাহায্য নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে যান। কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর যখন থমকে গেছে অনেক কিছুই, তখন তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাস-এ।

বিদেশে থেকেও দেশের মানুষের দুঃখ, দুর্দশার কথা চিন্তা করে তিনি গড়ে তোলেন মানবিক সংগঠন পটিয়া নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশন।

এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজস্ব কর্মীরা ছুঁটে গেছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে যখন তার পাশে কেউ যাচ্ছে না, ঠিক সেই মুহুর্তে এগিয়ে গেছেন তার টিম। সে ধারা এখনো অব্যাহত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখা পড়া শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী নিতে আমেরিকায় পাড়ি দেন।

পিএইচডি ডিগ্রি শেষে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর পটিয়ার সুলতান আহমেদ কুসুমপুরীর নিকটয়াত্মীয়।

যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও পটিয়া নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মানবতার এ ফেরিওয়ালা। তিনি একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

তিনি নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ব্যতিক্রমী ও মানবিক কাজগুলো করে চলেছেন। তাঁর এ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকারভোগী হয়েছেন পটিয়ার অন্তত ২০ হাজার অসহায় মানুষ।

নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের অর্থ সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনাব জুলকারনাইন চৌধুরী জীবনের অর্থায়নে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, কৃষি কাজে বীজ, সার বিতরণ, অসহায় পরিবারের মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ, ঘর নির্মাণ, খাদ্য সহায়তা, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, পবিত্র রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী বিলি, শীতবস্ত্র বিতরণ, গ্রাম পুলিশকে খাদ্য সহায়তা, সাইকেল বিতরণ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছেন সম্মাননা। জুলকারনাইন চৌধুরী জীবনের প্রচেষ্টায় অনেক অসহায় পরিবার এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করছেন। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে।

জুলকারনাইন মূলত মানবতার জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আনন্দ এবং তৃপ্তি খুঁজে পান।

মানবতার ফেরিওয়ালা রাজনীতিক ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় আমি এ পর্যায়ে এসেছি।

আমার সামর্থ্যের ওপর তাদের হক আছে। বিলিয়ে দেওয়ার মাঝে যে সুখ, সেটা অনেক কিছুতেই পাওয়া যায় না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আর্তমানবতার সেবায় যেন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি, সেটাই সকলের কাছে আমার প্রত্যাশা। # ৬.৯.২৩

 

 

Related Articles