চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ড. জুলকারনাইন

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ড. জুলকারনাইন

বিশেষ সংবাদদাতা : আগামীকাল (২৮ অক্টোবর)  চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার প্রথম জল টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর চট্টগ্রামে শুভাগমন উপলক্ষে ফুলেল শুভেচছা,  অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম -১২ (পটিয়া)  আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, আমেরিকার টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পটিয়ার কৃতি সন্তান, তরুণ রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন।

টানেলের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে বিশাল আকৃতির ব্যানার, ফেস্টুনে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। এক বিবৃতিতে ড. জুলকারনাইন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।  

এই উন্নয়নের রূপকার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অকুতোভয় সাহসের কারণে তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করে পদ্মা বহুমুখ সেতু করেছেন।

মেট্রোরেল প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন। সাগরের বুকে দৃষ্টি নন্দিত কক্সবাজার বিমান বন্দর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করেছেন। 

সারাদেশের মত চট্টগ্রাম তথা পটিয়াবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ আগামীকাল টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী  সকাল ১১ টায় আনোয়ারা প্রান্তে উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জন সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে পটিয়ায় ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। তাদের প্রত্যাশা কর্ণফুলী টানেলের সুফল যেহেতু পটিয়াবাসী সরাসরি পাচ্ছে তাই পটিয়ার সর্বস্তরের নেতা কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ তাতে যোগদান করবেন।

ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জানিয়েছেন, তার পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ জনসভায় যোগদান করবেন। তাছাড়া তিনি নজির আহমদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জনসভায় আগত নেতা-কর্মীদের জন্য খাবার পানিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যানবীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, স্মরন কালের বৃহৎ এই জনসভায় চট্টগ্রাম উত্তর ও মহানগরীর নেতা-কর্মীরাও জনসভায় যোগ দিবেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরবেনএবংনির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট চাইবেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ,সাতকানিয়ার ৬টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের সমর্থকদেও নিয়ে শক্তি মত্তার জানান দেয়ার জন্য এলাকায় এলাকায় প্রস্তুতিসভা করে চলেছেন।

ইতিমধ্যে জনসভা স্থলের চারপাশ সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছবিতে ছেয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এই প্রকল্পটি আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইতিহাসের এক অপূর্ব মাইলফলক।১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩.৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি নদীর তলদেশের ৩৫ ফুট গভীওে নির্মান করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এটি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম জল টানেল।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকরেন। পওে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়া়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। #

Related Articles