পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও মানবিক সংগঠন “পটিয়া নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশন” এর চেয়ারম্যান ,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, অনুজীব বিজ্ঞানী ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন আজ (৪ঠা নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় যুক্তরাষ্ট্র দেশে ফিরেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তার দেশে ফেরা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
দুপুর ১২:৩০ টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলে পটিয়াবাসীর পক্ষে তাকে ব্যাপক ফুলেল শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।
এখান থেকে তাকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয় কুসুমপুরায় তার নিজ নির্বাচনী এলাকায়।
সেখানে বিকেল ৪ টায় স্থানীয় একটি কনভেনশন সেন্টারে পটিয়াবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে গণসম্বর্ধনা দেয়া হয়। সেখান থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে এলাকাবাসী তাকে তাঁর নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোহাম্মদ মোরশেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন কুসুমপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইউছুপ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন সুমন, জাহাঙ্গীর মেম্বার, ডাঃ জাহাঙ্গীর, হিরু মেম্বার, রহিম মেম্বার, নজির আহমদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের অর্থ সচিব নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল কাদের, মোঃ সাহেদ, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাফিস ইকবাল, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক আতিকুর রহমান, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন রাকিব, কুসুমপুরা স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রলীগ নেতা রিদয়, আজিজ, সামির, কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আসিফ, শাহাদাত, নয়ন, তাহসিন, রাকিব।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই আওয়ামী লীগ নেতাকে বরণ করতে বিমান বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ এবং জন প্রতিনিধিবৃন্দ।
সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে তফসিল ঘোষনার আগেই তিনি দেশে আসায় তার সমর্থকরা মনে করেন তিনি মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।
বিগত দিনে দল ও এলাকার মানুষের প্রতি তার মানবিক সাহায্য দলের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই কারনে তাকে দক্ষিণ জেলার উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য করা হয়। তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কুসুমপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানিয়েছেন, ড. জুলকারনাইন চৌধুরী টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছাড়াও অল ইউরোপ শাখার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন।
তার নিকটজনরা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই তিনি আসছেন। সব ঠিক থাকলে তিনি মনোনয়ন পাবেন।
বিমান থেকে নেমে আসলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজ সাধ্যমত জনগনের সেবায় নিয়োজিত আছি। জনপ্রতিনিধি হতে পারলে জনগনকে আরো ব্যাপক আকারে সহযোগিতা ছাড়াও এলাকার উন্নয়ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলের সভানেত্রী তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি পটিয়া আসনটি তাকে বিপুল ভোটে উপহার দিতে পারবেন। তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা চায় তরুন নেতৃত্ব। তারা চায় পরিবর্তন। দলের মনোনয়ন না পেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে, প্রধানমন্ত্রীর একজন ক্ষুদ্র দলীয় কর্মী হিসেবে, সরকারের একজন উন্নয়নের সারথী হিসেবে তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন।
তর কথা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনোনয়ন দেন তাহলে তার কাছে আজীবন ঋণী থাকবো। মনোনয়ন না পেলেও জাতির পিতার আদর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কান্ডারি হিসেবে কাজ করে যাবো।
উল্লেখ্য ড. জুলকারনাইন পারিবারিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন। ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। বিগত ৫ বছর প্রবাসে থেকেও পটিয়ার মানুষের কাছে নিজকে যেভাবে মেলে ধরেছেন তাতে তার প্রতি মানুষের ভালবাসা শতগুন বেড়েছে।৷৷