পটিয়ায় সরকারি কলোনীতে অবৈধ বসবাস

পটিয়ায় সরকারি কলোনীতে অবৈধ বসবাস

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের সরকারি কলোনীতে অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন অন্য উপজেলায় কর্মরত কর্মচারী এবং অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীরা। এতে করে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। এই সব কর্মচারী বিধি অনুযায়ী আবাসন ভাতা পেলেও তাদের বাড়ি ভাড়া বাবদ কোন টাকা কর্তন করা হয়না।

সরেজমিন, কলোনীতে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা পরিষদের কলোনীতে সপরিবারে বসবাস  করছেন ২০২০ সালের জুনে অবসরে যাওয়া উপজেলা পরিষদের ড্রাইভার দেলোয়ার হোসেন। এই বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে  থাকছেন। চলে যেতে বললে চলে যাবো।

এদিকে মুহাম্মদ মুরাদ নামে বোয়ালখালী উপজেলার সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারীও পটিয়ায় সরকারি কলোনীতে বিনা ভাড়ায় থাকছেন। তার পিতা পটিয়া সমাজ সেবা অফিসের নাইট গার্ড রুহুল আমিনের নামে বাসাটি বরাদ্দ হলেও তিনিও বাসার ভাড়া সরকারি কোষাগারে জমা দেন না। রুহুল আমিন নাইট গার্ড হলেও তিনি অফিসের হোন্ডা নিয়ে দিনের বেলায় ঘোরাঘুরি করেন। তিনি বলেন, অফিসের কাজে তাকে কর্মকর্তারা দিনের বেলায় ডিউটি করান। তাই তিনি রাতে ডিউটি করেন না।

উল্লেখ্য ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ গঠিত হওয়ার সময় কর্মচারিদের জন্য যে কলোনী তৈরি হয়েছিল এখন সে কলোনীর অনেকটাই ভেঙ্গেচুরে থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফরে প্রশাসন কলোনীকে বসবাসের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে এখনো প্রতিটি বাসায় রয়েছে কর্মচারীরা বসবাস করছেন। পরিত্যাক্ত ঘোষণা করায় তাদেরকে সরকারি কোষাগারে বাড়ি ভাড়া দিতে হয়না। এই কারনে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

পটিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলোনীতে গিয়েও দেখা যায় অবসরে যাওয়ার পরেও বছরের পর বছর সেখানে একাধিক কর্মচারি বসবাস করছেন। তারা পানি,গ্যাস ও বিদ্যুত ব্যবহার করছেন সরকারি খরচে। এতে সরকার বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন, কেউ অবৈধ ভাবে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles