দু’পক্ষ মুখোমুখি; পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন। পটিয়া গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

দু’পক্ষ মুখোমুখি; পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন।  পটিয়া গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা :পটিয়ায় গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মরহুম ডাক্তার কামাল উদ্দিনের একমাত্র জীবিত মেয়ে হোটেলটির দখল নিতে বহিরাগতের সহযোগিতায় নিয়ে কর্মচারীদের মারধর করে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় বলে হোটেলটির পরিচালক হাসানুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে হোটেলটি খুলে দেয়। সন্ধ্যায় হোটেলটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হোটেলটির ওয়ারিশদের পক্ষে হাসানুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হোটেলে হামলা চালিয়ে মরহুম কামাল উদ্দিনের ত্যাজ্য মেয়ে কানিজ ফাতেমা ভাংচুর ও লুটপাট চালান। ক্যাশ ভেঙে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে যান। সিসিটিভি নষ্ট করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি হামলার জন্য ব্যবহৃত মার্বেল ও আংটা প্রদর্শন করেন। হাসান উল্লাহ চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইউসুফ চৌধুরী, মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জাকির হোসেন চৌধুরী।

এর আগে হোটেল অভ্যন্তরে নিজ বাস ভবনে কানিজ ফাতেমা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি হোটেলটির সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে বলেন, আমার ভাড়াটিয়া হাসানুল্লাহ চৌধুরী গত ১০ মাস ভাড়া বকেয়া রাখায় আমি হোটেলে তালা মেরে দিয়েছি। আমার কোন ভাই-বোন জীবিত না থাকায় সম্পূর্ণ সম্পত্তির মালিক আমি।

আমি হোটেলটি সহ মার্কেটের ১০ গন্ডা সম্পত্তি দেখভালের জন্য জনৈক আবচার উদ্দিনকে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে আবচার উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন। তবে তিনি যে পাওয়ার পেয়েছেন তার সপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাননি।

পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  দুপক্ষকে থানায় ডেকেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে ডা: কানিজ ফাতিমা ও হাসান উল্লাহ চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।

এই বিরোধে জড়িয়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। হাসানুল্লাহ চৌধুরী যুবলীগের আহবায়ক।

Related Articles