এ্যারাবিয়ান ডেটস এর সৌজন্যে পটিয়া পৌরসভার পথচারীদের জন্য চালু হয়েছে ইফতার আয়োজন

এ্যারাবিয়ান ডেটস এর সৌজন্যে পটিয়া পৌরসভার পথচারীদের জন্য চালু হয়েছে ইফতার আয়োজন

পটিয়া সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার পথচারী, গরীব অসহায়, রোজাদারদের জন্য ৩০ রমজানে ৩০ দিন ইফতারির আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ফল আমদানি ও বাজারজাত করা প্রতিষ্ঠান এ্যারাবিয়ান ডেটস সুপার শপ।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোহাম্মদ শহিদুল আলিম পটিয়া পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন দুই হাজার পথচারী রোজদারদের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

১ম রমজান থেকে ৩০ রমজান পর্যন্ত মাসব্যাপী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এ্যারাবিয়ান ডেটস সুপার শপের মালিক শহিদুল আলিম। প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল, কাউন্সিলর গোফরান রানা, কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর শফিউল আলম, কাউন্সিলর শেখ সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দীন আজাদ, নাঈম উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমান, সৈয়দ তালুকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

পৌরসভার ৯টি এলাকার ৯জন কাউন্সিলকে পথচারীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একজন ব্যবসায়ীর এমন আয়োজনে পৌরবাসী এবং সচেতন মহলের মধ্যে ব্যাপক প্রশাংসা কুড়িয়েছে।

বিনামূল্যে ইফতারের ৯টি স্থানগুলো হলো পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া (রা.) মাজার গেইট, পটিয়া বাসস্ট্যান্ড, ডাক বাংলোর মোড়, থানার মোড়, পোস্ট অফিস, উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে, কাগজী পাড়া, পটিয়া রেলস্টেশন। জনসমাগমকৃত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে পথচারী, গরীব অসহায় মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক পথচারী জানান, চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস থেকে নেমে ১ম রমজানে পটিয়া বাস স্টেশনে  কয়েকজন যুবক হতে খেজুর আর পানির বোতল তুলে দিলে আমার চোখে পানি এসে যায়।

যেখানে রমজানের মধ্যে সব কিছুর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় সেখানে মানুষকে বিনামূল্যে ইফতার করার ব্যবস্থা এটাতে আল্লাহ খুশি হবেন, আয়োজকদের জন্য মন থেকে দোয়া করছি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ফলমন্ডির এ্যারাবিয়ান ডেটস সুপার শপের মালিক শহিদুল আলম বলেন, জীবনে অনেক টাকা আয় করেছি, যে টাকা দিয়ে যদি মানুষের উপকার করতে না পারি, কোন সেবা করতে না পারি, মানুষ তো আজীবন থাকবে না সবার দোয়ার প্রয়োজন। তাই যত খেজুর দরকার ৩০ রমজানে ফ্রি আমি দিচ্ছি প্রাথমিকভাবে দুই মেট্টিকটন খেজুর এবং পানি দিয়েছি লাগলো যত প্রয়োজন তত দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যাতে কোন রোজদার সময়ের অভাবে এবং টাকার অভাবে যথা সময়ে ইফতার থেকে বঞ্চিত না হয়। সবাইকে এগিয়ে এসে পৌর কর্তপক্ষকে সহযোগিতা করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

 

Related Articles