পটিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরলেন বদিউল আলম

পটিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরলেন বদিউল আলম

এ,টি,এম, তোহা :  বাংলাদেশ  আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম গতকাল রোববার ১ মে তার নিজ এলাকা পটিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ এবং  স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে  এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানার সঞ্চালনায় মতবিনিময়ের শুরুতে বদিউল আলমকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক,  সহ সভাপতি এ,টি,এম, তোহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী  কার্যকরী সদস্য এসএমএকে জাহাঙ্গীর, আহমদ উল্লাহ, আবেদুজ্জামান আমেরী, নুর হোসেন প্রমূখ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। 

প্রেসক্লাবে তাঁকে স্বাগত জানানোয় ও তাঁর দেয়া ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ায় বদিউল আলম সংশ্লিষ্ট সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিরাকল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী গত ১৩ বছরে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন করেন নাই।

পটিয়ার উন্নয়নেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। অথচ কোথাও প্রধানমন্ত্রীর প্রচার হয়না; স্থানীয় নেতাদের নাম প্রচার হয়।  যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের পটিয়ার যে অর্জন তা কিছু অর্বাচীনের জন্য ব্যর্থ হতে পারে না।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি অপ্রত্যাশিত  ঘটনা দেশবাসীকে শুধু দলের ভিতর নয়, দেশবাসীকেও বিব্রত করেছে।

পটিয়ায় রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সভ্যতার গৌরবগাঁথা। আজ আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েকটি অঘটন যারা ঘটিয়েছে এরা দলের কেউ নয়, বিএনপি -জাময়াত,ফ্রিডম পার্টি থেকে আগত লোক। যাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

হাইদগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। এর আগে  যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জমিরসহ ৩জনকে একই সাথে গুলিবিদ্ধ যারা করেছে।

তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা দরকার। জিতেন কান্তি গুহকে হামলার ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়।

মুলত এমপির অনুসারীদের আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের। এটিকে যেন সাম্প্রদায়িকতার রূপ দিয়ে পটিয়াকে যেন অশান্ত করা না হয়।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পটিয়ার আনাচে কানাচে গিয়ে কর্মীদের সংগঠিত করছি, তাদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অর্জন তুলে ধরছি।

দল যাকে ইচ্ছে তাকে মনোনয়ন দিবে। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবেনা।  উন্নয়নে যারা পার্সেন্টেজ নেয় তারা দলে বেশি দিন থাকতে পারেনা। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে ইফতার মাহফিলে শরিক হন এবং দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

 

Related Articles