টানা ১০ম বুন্দেস লিগা ঘরে তুলল বায়ার্ন

টানা ১০ম বুন্দেস লিগা ঘরে তুলল বায়ার্ন

ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা ১০ম বারের মতো বুন্দেস লিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর সব মিলিয়ে এটি বায়ার্নের ৩১তম বুন্দেস লিগার শিরোপা। এর আগে শেষবার ২০১১/১২ ও ২০১০/১১ মৌসুমে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল বায়ার্ন। এরপর টানা ১০ মৌসুম ধরে বুন্দেস লিগায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে বাভারিয়ানরা।

বুন্দেস লিগার এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ৩১ ম্যাচে ২৪ জয় তিনটি ড্র আর চারটি হারে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৩১ ম্যাচে ২০ জয় তিন ড্র আর আট হারে ৬৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে বায়ার্ন হারলেও আর বুরুশিয়া জয় পেলেও বায়ার্নের সমান ৭৫ পয়েন্টই হবে। তবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শিরোপা উঠবে বায়ার্নের হাতেই। অর্থাৎ তিন ম্যাচ হাতে রেখেই বায়ার্ন টানা ১০ম আর সব মিলিয়ে ৩১তম বুন্দেস লিগার শিরোপা নিশ্চিত করল।

জার্মান ক্লাসিকো জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত বায়ার্নের, সেটিও আবার ঘরের মাঠেই। তাই তো বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে রাখে তারা। প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি খুব বেশি সময়। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় লেওন গোরেতজেকার অ্যাসিস্ট থেকে সার্জ গ্ন্যাব্রি গোল করে বাভারিয়ানদের ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুণ করেছিলেন গ্ন্যাব্রি তবে ভিএআরের মাধ্যমে দেখা মেলে অফসাইড পজিশনে ছিলেন তিনি। আর তাই তো বাতিল হয়ে যায় দ্বিতীয় গোলটি।

দ্বিতীয় গোলটি বাতিল হওয়ার পাঁচ মিনিট পরে ব্যবধান ২-০ করেন রবার্ট লেভান্ডোফস্কি। থমাস মুলারের বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে হালকা টোকায় তা জালে জড়ান লেভা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বুরুশিয়া। ৫২ মিনিটে মার্কো রয়েসকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করেন জশুয়া কিমিচ আর তাতেই পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। স্পটকিক থেকে এমরে ক্যান গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন।

ম্যাচের সময় ৬০ মিনিট গড়াতেই দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। জুড বেলিংহামকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন তবে এবার ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি প্রত্যাহার করেন রেফারি। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে বুরুশিয়া। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। উল্টো ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে মার্সেল স্যাবিতজারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জামাল মুসাইলা। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। আর সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় ৩১তম বুন্দেস লিগাও।

বুন্দেস লিগার রেকর্ড সংখ্যক শিরোপা জয়ী বায়ার্নের পরে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের শিরোপা সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বুরুশিয়া মুনশেনগ্ল্যাডবাখের শিরোপাও পাঁচটি।

Related Articles