ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

হারের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে। রবিবার গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়েছে। তাই ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪১ ওভারে। শরিফুল মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৪১ ওভারে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে করে ১৪৯ রান। সহজ লক্ষ্য ৩১.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় বাংলাদেশ। তাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেলো সফরকারীররা। একই সঙ্গে এ নিয়ে টানা ৯ ওয়ানডে জিতলো ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এই দুই ফরম্যাটের তুলনায় ওয়ানডেতে অনেক এগিয়ে টাইগাররা ।

সেটি গায়ানার প্রথম ম্যাচে আরেকবার প্রমান মিললো। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত ফরম্যাটে ফিরেই আলো ছড়ালেন তরুন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গায়ানার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারেই সুবিধা করতে দেয়নি সফরকারীরা। নির্ধারিত ৪১ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা ৯ উইকেটে করেছে ১৪৯ রান।

১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। মাত্র ১ রানে আকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন লিটন কুমার দাস। জোরালো আবেদনে ফিল্ড আম্পায়ার বেশ খানিকটা সময় নিয়ে আঙুল তোলেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন লিটন। যদিও টিভি আম্পায়ার ওই সিদ্ধান্তে বহাল রাখেন।

শুরুতে উইকেট হারালেও তামিম ও শান্ত মিলে টেনে তোলেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দারুণ খেলতে থাকলেও ভুল বোঝাবুঝিতে বিপদ ডেকে আনেন। অধিনায়ক তামিম হন রান আউটের শিকার। ফেরার আগে ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস।

তার বিদায়ের পর মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শান্ত। ছিলেন লক্ষ্যের পথেই। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে শান্তর। গুডাকেশ মোটির বলে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন নিকোলাস পুরানের হাতে। তাতে শেষ হয় তার ৩৩ রানের লড়াকু ইনিংস। ৫৭ বলের ইনিংসে মারেন এক চার ও এক ছক্কা।

এই পুরানের বলেই আবার ফেরেন আফিফ হোসেন। বাঁহাতি ব্যাটার ১৭ বলে করেন ৯ রান। আফিফ ফেরার পর বাকি কাজ সেরেছেন মাহমুদুল্লাহ ও সোহান। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে নিশ্চিত করেন দলের দল। মাহমুদুল্লাহ ৬৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর সোহান অপরাজিত ২৭ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রানে।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই খেলেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকে আধিপত্য ধরে রেখে উইকেট তুলে নিয়েছেন তারা। সবচেয়ে সফল শরিফুল ইসলাম। দুই ওভারে দুইবার করে ২টি উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি পেসার। সব মিলিয়ে ৮ ওভারে এক মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩৬ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর একটি উইকেট শিকার মোস্তাফিজুর রহমান।

তাদের দাপটের সামনে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন শামারাহ ব্রুকস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোয়ার অর্ডারের অ্যান্ডারসন ফিলিপের। তার অপরাজিত ২১ ও জেডেন সিলসের অপরাজিত ১৬ রানে ভর করেই ১৪৯ রান করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১০ রানে নবম উইকেট হারানোর পর তারা টেনে নেন স্কোর।

Related Articles