উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

২ উইকেটে ছিল ৯৬, সেখান থেকে ২০ রান যোগ করতে আরও ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে সোহানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে বিদায়নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্যারিবীয়দের ছুড়ে দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হঠাৎ চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে নয় বল বাকি থাকতে দলকে চার উইকেটের জয় এনেদেন নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।

এছাড়া লিটনের ৫০ ও তামিমের ৩৪ রানের ইনিংস ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশে বড় ভুমিকা রাখে। এটি উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা ১১তম জয়। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছয় উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে নয় উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাইজুল।

এর আগে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ দলের কাছে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি ছিলো কেবলই নিয়মরক্ষার।

নিয়মরক্ষার ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পুঁজিটা খুব বড় করতে পারেনি উইন্ডিজ। ১৭৮ রানেই গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। অর্থাৎ হোয়াইটওয়াশ করতে হলে বাংলাদেশের দরকার ১৭৯ রান।
সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। উপেক্ষিত এনামুক হক বিজয়, তাসকিন আহমেদ। পরিবর্তন একটি। পেসার শরিফুল ইসলামের জায়গায় বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফলে ১০ বছর পর এক পেসার নিয়ে ওয়ানডেতে নামে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ২৮ মাস পর ওয়ানডেতে ফেরা তাইজুল টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদানদেন। নিজের ১০ ওভারের কোটায় মাত্র ২৮ রান দিয়ে একাই নেন ৫ উইকেট। এই সংস্করণে প্রথমবারের মতো ফাইফারের স্বাদ পেলেন তাইজুল।

গায়ানায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও টসে জিতে ফিল্ডিং নেন তামিম। শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে উইন্ডিজ। চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন এরপর পুরান ও এ ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা কিসি কার্টি। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৭ রান।

পুরান অবশ্য স্পিনের বিপক্ষে জবাবটা দিয়েছেন ভালোই। কার্টি ফেরার পর আকিল হোসেনকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৪ রান। অন্যপ্রান্তে সঙ্গীদের ফিরে যাওয়া দেখে এরপর নিজেই চড়াও হন। আকিল হোসেনের সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ২১ রান। তবে পুরান-কার্টির ওই জুটির আগে-পরে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় উইন্ডিজ। শেষ দিকে এসে মোস্তাফিজের বলে তামিমের হাতে জীবন পাওয়া শেফার্ড ২২ বলে করেন ১৯ রান।

তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ ও নাসুম। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২ ওভার করা আফিফ থাকেন উইকেটশূন্য। আগের ২ ম্যাচ মিলিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া মিরাজ উইকেটের দেখা পাননি। ৮ ওভারে ৬১ রান দিয়েছেন তিনি।

Related Articles