মাছ ধরা নিয়ে শোভনদন্ডীতে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১ সহ আহত ৩

মাছ ধরা নিয়ে শোভনদন্ডীতে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১ সহ আহত ৩
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হিলচিয়া গ্রামের ওমর মিয়ার পুত্র জফিকুল ইসলাম (৩২), হাতিয়ার ঘোনা গ্রামের আবদুর রহমানের পুত্র মোজাহের ইসলাম (৪৫) ও একই এলাকার নাজির আহমদের পুত্র ছোটন (২৬)।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ জফিকুল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্য দুজন চন্দনাইশ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। হিলচিয়া-হাতিয়ার ঘোনা কাজীর পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার হিলচিয়া-হাতিয়ার ঘোনা কাজী জামে মসজিদের কমিটি ও ওরশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে সম্প্রতি বার্ষিক ওরশ নিয়ে প্রথম দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও রেকর্ড হয়েছে। বুধবার রাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর চড়াও হলে রাতের অন্ধকারে ছোড়া গুলিতে জফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এতে মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রতিপক্ষ সেলিম উদ্দিনকে ঘটনার জন্য দায়ী করলেও সেলিম উদ্দিন তা অস্বীকার করে বলেছেন প্রতিপক্ষরা বিরোধীয় পুকুরের মাছ ধরার চেষ্টা করলে এঘটনার সূত্রপাত হয়। এ  নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, মসজিদের কমিটির বিরোধের জের ধরে মূলত মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ইটের আঘাতে জখম হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি।
তবে শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হক জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটি ও পুকুরের বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষ আরেকপক্ষের উপর হামলা করেছে। এক পর্যায়ে এক পক্ষের গুলিতে জফিকুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এলাকার শান্তির জন্য বিরোধীয় মসজিদ ও পুকুরের বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার। অন্যথায় প্রাণহানির আশংকা আছে।

Related Articles