বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০ নির্দেশনা

বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০ নির্দেশনা

রোগ নির্ণয়ের জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নিয়ে হাসপাতালের মতো সার্জারি ও রোগী ভর্তিসহ কোনো ধরনের সেবা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে শুধু হাসপাতালের সেবা নিবন্ধন থাকলে সেখানে ডায়াগনোসিস তথা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। দুটি করতে চাইলে আলাদাভাবে দুটির জন্যই সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশকিছু নতুন শর্তাবলী আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো-

১. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।

২. সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

৩. যে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে কিন্তু লাইসেন্স শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের নেওয়া আছে তারা লাইসেন্সে উল্লেখিত সেবা ছাড়া অন্যকোনো সেবা প্রদান করতে পারবে না।

৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে শুধু সেই ক্যাটগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে। কোনভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটরগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।

৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যাসংখ্যা অনুযায়ী সকল শর্তাবলী বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সকল চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের একজন সার্জন সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।

৮. কোন অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বাদে চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া প্রদান করা যাবে না।

৯. বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না।

১০. সকল বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

Related Articles